Thursday, March 11, 2021

বরিশাল নগরীতে সেই চোরা জলিলের নেতৃত্বে এ্যাম্বুলেন্স ছিনতাই, মামলা

 নগরীতে সেই চোরা জলিলের নেতৃত্বে এ্যাম্বুলেন্স ছিনতাই, মামলা


রিপোর্ট ॥ নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশাল নগরীতে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে একটি এ্যাম্বুলেন্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বরিশাল ‘ল’ কলেজের সামনে ফিল্মিস্টাইলে এ ঘটনা ঘটে। যে ঘটনায় গতকাল ১০ মার্চ বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামীরা হলো যথাক্রমে, বেতাগী থানার গাবতলীর বাসিন্দা মোঃ ইউনুস মিয়ার পূত্র স্বাধীন ওরফে সোহাগ(২৩), শেবাচিম হাসপাতালে পিছনের বাসিন্দা রাসেল ওরফে জামাই রাসেল(৩৫), নগরীর ব্যাপ্টিষ্ট মিশন রোডের বাসিন্দা মৃত মইন উদ্দিন আকনের পূত্র আঃ জলিল আকন ওরফে চোরা জলিল(৩৮), বামনা থানার কালিকাবাড়ী গ্রামের শামসুল হকের পূত্র কামাল (৪০), সাইফুল(৩২), রুবেল (২৩)সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন। মামলাটি দায়ের করেন ছিনতাই হওয়া এ্যাম্বুলেনসটির চালক মোঃ মিঠু জম্মাদার (২৫)। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামীরা অত্যন্ত অসৎ, সন্ত্রাসী, দাঙ্গা হাঙ্গামাকারী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, দস্যুতাকারী, পরসম্পদলোভী ও পরবৃত্ত লোভী প্রকৃতির লোক। মামলার বাদী মোঃ মিঠু জম্মাদার একজন পেশাদার ড্রাইভার। তার ভাই আসাদ জম্মাদারের মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স মাইক্রোবাস টয়োটা জাপান, যার নম্বর ঢাকা মেট্রো চ-১৯-০০৫২ গাড়িতে গত ৪ মার্চ সকালে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ০১৪০৮-৭৫২১৯৭ নম্বরের মুঠোফোন থেকে ড্রাইভার মোঃ মিঠু জম্মাদারের ব্যবহৃত ০১৭৮১-২০..৯৬ নম্বরে কল করে বরিশালে রোগী নিয়া যাবার কথা বলে নলছিটির কুমারখালী বাজারে যাইতে বলে। বাদী তাদের দেয়া ঠিকানায় দুপুর ১২টার দিকে পৌছালে অজ্ঞাতনামা ২জন ব্যাক্তি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে যাইবে বলিয়া  এ্যাম্বুলেন্সে ওঠে। মামলার বাদী তাদের নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে আসলে নগরীর ব্যাপ্টিষ্ট মিশন রোডের বাসিন্দা মৃত মইন উদ্দিন আকনের পূত্র আঃ জলিল আকন ওরফে চোরা জলিল(৩৮), বামনা থানার কালিকাবাড়ী গ্রামের শামসুল হকের পূত্র কামাল (৪০) এ্যাম্বুলেন্সে উঠে বলে সদর হাসপাতালের সামনে যাইতে হবে। বাদী তাদের নিয়ে বরিশাল সদর হাসপাতালের সামনে গেলে সাইফুল ও রুবেল গাড়ীতে উঠে বরিশাল ‘ল’ কলেজের সামনে নিয়া যায়। সেখানে নিয়ে স্বাধীন ওরফে সোহাগ(২৩), রাসেল ওরফে জামাই রাসেল(৩৫) এর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩জন ব্যাক্তি আকষ্মিকভাবে গাড়ীর সামনে এসে দাড়ায় এবং গাড়ীতে থাকা অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় মামলার বাদী মোঃ মিঠু জমাদ্দারকে কিল, ঘুষি, চর-থাপ্পর মারতে থাকে। এসময় বাদী আসামীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে স্বাধীন ওরফে সোহাগ, রাসেল ওরফে জামাই রাসেল ও জলিল আকন ওরফে চোরা জলিল তাদের কোমরে থাকা ধারালো চাকু বের করে মিঠুর ঘাড়ে ও পেটে ঠেকিয়ে বলে যে, (প্রকাশের অযোগ্য)  তোর জীবন এখানেই শেষ করে দেব। কোন চিৎকার চেচামেচি করবিনা। এসময় প্রানভয়ে মামলার বাদী এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মোঃ মিঠু জমাদ্দার নিশ্চুপ হয়ে গেলে ২নং আসামী শেবাচিম হাসপাতালে পিছনের বাসিন্দা রাসেল ওরফে জামাই রাসেল মিঠুর হাত থেকে গাড়ীর চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে অন্যান্য সকল আসামীদের সাথে নিয়ে দ্রুত গাড়ী চালিয়ে সটকে পরে। পরোবর্তিতে মিঠুর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।

No comments:

Post a Comment