Friday, April 16, 2021

নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই প্রমাণ করে দিলেন শামু

 


নিজস্ব প্রতিনিধি   //

 শামু খান পড়াশোনা করেছেন লালমাটিয়া মহিলা কলেজে

স্বামী ও ২ ছেলে  নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন ঢাকার মিরপুর  ডিওএইচ  এ। 

তখন সময়টা ছিলো ২০১২ যখন অনলাইন কেনাকাটায় বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা হলেও পেছানো ছিলো।অনেকেই জানতো না অনলাইন ব্যাবসা সম্পর্কে আবার যারাও জানতো তারা মনে করতে অনলাইনের পণ্য ভালো হয় না।যখন মানুষের চিন্তা ধারণাই ছিলো এরকম ঠিক তখন  শামু খান তার ভাই মনির হোসেন  এবং বোন ইসমা হক এর ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেন , যে তিনি অনলাইনে ব্যাবসা  করবেন।


তবে কীভাবে তার যাত্রা টা শুরু করবেন বুঝতে পারছিলেন না।অনেক চিন্তা ভাবনার পড়ে Shamu's Collection নামে ফেসবুক এ একটি পেইজ চালু করেন। আর সেখানে তিনি তার ইউকের বোন এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম মাত্র ৫০ পাউন্ড(প্রায় ৬০০০ টাকা)এর  জুয়েলারি  দিয়ে শুরু করেছিলেন। শুরুটা ছিলো চ্যালেঞ্জের ছিলো  না কোনো ডেলিভারি ম্যান তিনি নিজেই পার্সেল সেল হলে ডেলিভারি দিয়ে আসতেন। তার পণ্যের গুণগত মান এবং সার্ভিস এর মাধ্যমে  হাজারো  ক্রেতাদের হৃদয়ে স্থান পায়  Shamu's Collection ।  থাইল্যান্ড এবং চিনে   গিয়ে তিনি তার পছন্দ মতো কসমেটিকস, জুয়েলারি, ব্যাগ, গড়ি, মানিব্যাগ ইত্যাদি ইনপুট করছেন ।



শামু খান বলেন,আমি যখন অনলাইন ব্যাবসা শুরু করি  তখন আমাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তখন আমার ভাই মনির হোসেন অস্ট্রেলিয়া থেকে এবং  বোন ইসমা হক ইউকে থেকে আমাকে সর্বোচ্চ  সাপোর্ট দিয়েছেন। আজ আমি তাদের সাপোর্টে  এবং   ভালো সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতাদের ভালো সাড়া পেয়ে শুধু ফেসবুক পেইজ এ নয় মিরপুর ডিওএইচ শপিং কমপ্লেক্স এর ২য় তলা ৯ নম্বর দোকানটি হলো   Shamu's Collection এর।


এখানে ৪ জন ডেলিভারি ম্যান কাজ করছেন,  এছাড়াও শপে আরো কয়েকজন কাজ করছেন। Shamu's Collection এর মাধ্যমে আজ কয়েকটি পরিবার সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন।


তিনি আরো বলেন,  Shamu's Collection ক্রেতাদের মনে স্থান পাওয়ার মূল কারণ হলো কখনো কেউ কোন প্রোডাক্ট  কিনে প্রতারিত হননি, আছে রিটার্ন করার ব্যাবস্থা,এমনকি ক্রেতা ইচ্ছে করলে  এক্সচেঞ্জ ও করতে পারবেন,বিভিন্ন দিবসগুলোতে ডিসকাউন্ট এর ব্যাবস্থা ও আছে।


সবশেষে তিনি বলেন,আজ যদি আমি একজন সফল ব্যাবসায়ী / উদ্যোক্তা হয়ে থাকি তার পিছনো ৩'জন মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি একজন হলেন আমার ভাই মনির হোসেন, আরেকজন আমার বোন ইসমা হক  যাদের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আরো একজন যার কথা না বললেই নয় তিনি হলেন আমার স্বামী যিনি আমাকে সব সময় সাপোর্ট করেছেন তার সাপোর্টা না পেলে হয়তবা আমি আজকে এতদূর পর্যন্ত আসাটা সম্ভব হতো   না সব সময় আমার ছায়া হয়ে পাশে থাকতো। 

আমি তাদের ৩ জনের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

No comments:

Post a Comment