Wednesday, March 3, 2021

ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’ ঝালকাঠি সুগন্ধায়

ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’ ঝালকাঠি সুগন্ধায়
ঝালকাঠি প্রতিনিধি ঃশেখ জাহিদ ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’ এখন ঝালকাঠি শহরের সুগন্ধা নদীর তীরে ডিসি পার্কের সাথে অবস্থান নিয়েছে। ঝালকাঠি পৌর এলাকার বাসিন্দাদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষে কাজ করবে বলে জানা গেছে। ১২ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি বিভিন্ন এলাকার দুস্থ-অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে মানসম্মত চিকিৎসা প্রদান করবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের পরিচালনাধীন হাসপাতালটি ঝালকাঠির ডিসি পার্কের সুগন্ধা নদীর তীরে নোঙর ফেলেছে সোমবার সকালে। নদী মাতৃক বাংলাদেশে ‘জীবন তরী’ নামে এই ভাসমান হাসপাতালটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে সারা বছর চিকিৎসা প্রদান করে থাকে। আগামী ৭ মার্চ থেকে ‘জীবন তরী’ দিয়ে ঝালকাঠিতে চিকিৎসা সেবা শুরু করবে। ‘জীবন তরী’ নামে ভাসমান এই হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের জন্য তিন জন চিকিৎসক দিয়ে নাক, কান, গলা, চক্ষু চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞ সার্জন দিয়ে অস্ত্রোপচার করারও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ‘জীবন তরী’ হাড়জোড়া, হাড়ভাঙা, পঙ্গুত্ব, জন্মগত ঠোঁটকাটা, ঠোঁটের তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসাসহ প্লাস্টিক সার্জারি ও অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে জানাগেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১২ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে সার্বক্ষনিক ৩জন চিকিৎসক রয়েছে। এরমধ্যে একজন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ, একজন চোখের, একজন অর্থোপেডিকসের। চারজন নার্স, দুজন কর্মকর্তাসহ মোট ৩৫ জন জনবল আছে হাসপাতালে। মুমূর্ষু রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে আনা-নেয়া বা হস্তান্তরের জন্য স্পিডবোট আছে দুটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, এখানে নিয়মিত এক্স-রে, রক্তসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা আছে। হাসপাতালটিতে স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা করা হয়। লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে চোখের ছানি অস্ত্রোপচার করা হয়। ভাসমান হাসপাতালে ফ্যাকো সার্জারিরও ব্যবস্থা আছে। চিকিৎসা ছাড়াও রোগীদের সহায়ক সামগ্রী দেয়া হয়।

No comments:

Post a Comment